নিউজ ডেস্ক : বাজার থেকে এসএমসি প্লাস ও রিচার্জের সকল ধরনের ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত।
সেই সঙ্গে অনুমোদনহীন ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় বিক্রির অভিযোগে করা মামলায় এসএমসি প্লাস বাজারজাতকারী কোম্পানি একমির কর্ণধার তানভীর সিনহাকে ১৬ লাখ টাকা এবং রিচার্জের বাজারজাতকারী কোম্পানি দেশবন্ধুর কর্ণধার গোলাম মোস্তফাকে ১২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রোববার (১৯ মে) সকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবার এ নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হাসান। নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩-এর অধীনে তিনি মামলাটি দায়ের করেন।
গত মঙ্গলবার (১৪ মে) বাজারে বিক্রি হওয়া অনুমোদনহীন পাঁচটি কোম্পানির ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকসের মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবরের আদালত। সেই সঙ্গে পাঁচটি কোম্পানির মালিকদের আগামী ৫, ৬ এবং ৯ জুন আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
এনিয়ে নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক বলেন, এগুলোর একটিরও অনুমোদন নেই। ওষুধ প্রশাসনও বলতে পারেনা এগুলো ওষুধ নাকী ড্রিংকস। এরইমধ্যে এসএমসি প্লাসের মডেল হয়ে পণ্যর প্রসারে প্রচারণা করছেন ক্রিকেটার তামীম ইকবাল খান। নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী এটি অপরাধ। আমরা ইতিমধ্যে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করতে বলেছি, শোনেনি কোনো কোম্পানি। কাজেই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
উল্লেখ্য, যে পাঁচটি ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় নিষিদ্ধ চেয়ে মামলা করা হয়েছে সেগুলো হলো: একমি ও এসএমসি-এর এসএমসি প্লাস, প্রাণ-এর অ্যাক্টিভ, ব্রুভানা বেভারেজ লিমিটেড-এর ব্রুভানা, দেশবন্ধু ও আগামী'র রিচার্জ এবং আকিজ-এর টার্বো।
এমএইচইউ/তিতাস টাইমস২৪








0 মন্তব্যসমূহ