সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

৯ ভারতীয়সহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি

নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ ও ভারত থেকে চুরি করা দামি স্মার্টফোন পাচার চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বুধবার (৬ মার্চ) রাতে এই চক্রের ৯ জন ভারতীয় ও একজন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীকে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।


গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, ভারতীয় নাগরিক রাজা শাও, পঙ্কজ বিশ্বাস, উৎপল মাইটি, দীপঙ্কর ঘোষ, রাজু দাস, সুজন দাস, এস কে আজগর আলী, লারাইব আশ্রাব, সমরজিৎ দাস ও বাংলাদেশি নাগরিক মুরাদ গাজী। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২১টি দামি মোবাইল ফোনসহ চোরাচালানের মাধ্যমে ভারত থেকে আনা বিপুল পরিমাণ কসমেটিকস, শাড়ি, থ্রি পিস, ৫টি ভারতীয় পাসপোর্ট ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।

৯ ভারতীয়সহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।  


তিনি বলেন,‘দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রটি বাংলাদেশের দামি মোবাইল ফোন, আইফোন, স্যামসাংসহ অন্যান্য স্মার্টফোন চুরি করে ভারতে পাচার করতো। আবার ভারতে চুরি হওয়া কিছু মোবাইল ফোন বাংলাদেশে এনে বিক্রি করতো। রমজান ও ঈদের আগে মদ-বিয়ার না এনে কোনো শুল্ক/ভ্যাট পরিশোধ না করে অবৈধভাবে শুধু কসমেটিকস, কাপড়-চোপড়, জুতা স্যান্ডেল, যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও জেল এনে তারা মজুত করছিল।

৯ ভারতীয়সহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি

এসময় ডিবিপ্রধান আরও বলেন, বাংলাদেশে নামাজ পড়তে গিয়ে, জনসভায় গিয়ে, চলার পথে বা মার্কেটে গিয়ে প্রতিদিন অনেকের আইফোনসহ নামিদামি ব্র্যান্ডের ফোন চুরি হচ্ছে। এসব ঘটনায় চোররা ধরা পড়লেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ফোন উদ্ধার হয় না। চোর এবং তাদের মহাজনদের গ্রেপ্তরের পর জানা যায়, বাংলাদেশে চুরি হওয়া ভালো মানের দামি ফোনগুলো পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে নিয়ে বিক্রি করা হয়। গ্রেপ্তার কয়েকজন এবং তাদের অন্য সহযোগীরা বাংলাদেশে চুরি হওয়া নামিদামি ফোনগুলো স্বল্প দামে কিনে ভারতের বাজারে বিক্রি করে।


এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তাররা বাংলাদেশি মুরাদ গাজী তার বোন ববিকে নিয়ে মধ্য বাড্ডায় নিজের বাসায় দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে ভারতীয় কাপড়, জুতা, স্যান্ডেল, তেল, সাবান, কসমেটিক্স, সেক্স পিল ও জেল বিক্রি করে আসছিল।


গ্রেপ্তার আসামিরা স্বীকার করেছেন জব্দ করা মালামাল কোনোটাই বৈধ পথে আনা হয়নি। ট্রেনে করে তারা দীর্ঘদিন ধরে কোনো ট্যাক্স পরিশোধ না করে এসব ভারতীয় মালামাল চোরাই পথে বাংলাদেশে এনে বিক্রি করছিল। এর আগে তারা কাপড়ের গাট্টির মধ্যে শত শত চোরাই মোবাইল ফোন, মদ এবং বিয়ার বাংলাদেশে এনে বিক্রি করেছে।  


ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, এই চক্রের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Main Ad

এমএ/ঢাকা/বিশেষ প্রতিনিধি/তিতাস টাইমস২৪

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

© TitasTimes24 All Rights Reserved

class='remove-footer'>