নিউজ ডেস্ক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে আগামী ৭ তারিখে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে সবার প্রতি বিশেষ আহ্বান জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ (সোহেল তাজ)।
গাজীপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সিমিন হোসেন রিমির নির্বাচনি জনসভায় এই আহ্বান জানান তার ভাই সোহেল তাজ। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে কাপাসিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সোহেল তাজ বলেন, দুর্নীতি-অনিয়ম পিছনে ফেলে আমাদের নতুন প্রজন্মের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। যে জাতি নিজের অর্থ দিয়ে একটি দেশ স্বাধীন করতে পারে, সেই জাতি বীরের জাতি। আমাদের সামনে আরও কাজ রয়ে গেছে। কাজগুলো সম্পন্ন করতে আগামী ৭ তারিখে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে। আমি সেই ভোট চাইতে এসেছি।
ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এখানে একটা কমন জিনিস হলো, সবকিছুর মূলে আছে তাজউদ্দীন আহমদ। আপনারা নৌকায় ভোট দিয়েছিলেন তাজউদ্দীন আহমদকে। ভালোবাসার প্রতিফলন ঘটিয়েছিলেন বার বার নৌকায় ভোট দিয়ে। আজ বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আপনাদের মূল্যবান ভোটের কারণে সেদিন ইতিহাস সৃষ্টি করতে পেরেছিলাম। আর আমাদের সোনার বাংলার একটা স্বপ্ন ছিল। স্বপ্নে ছিল একটা মানুষও বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না। একটি মানুষও না খেয়ে মৃত্যুবরণ করবে না। এমন একটি সোনার সুন্দর দেশ, যে দেশে সবার শিক্ষার অধিকার থাকবে, যে দেশে সকল মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে, যে দেশে কোনো অনিয়ম থাকবে না, কোনো দুর্নীতি থাকবে না। ন্যায়বিচার থাকবে। সকল মানুষের সমান অধিকার থাকবে। আমার বোন সিমিন হোসেন রিমি তার মানবিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে, সে ভালো কাজ করেছে। আমাদের ভিতরে অনেকে বিভেদ সৃষ্টি করতে চায়। মনে রাখবেন, নৌকা আমাদের প্রাণের মার্কা। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রিমিকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। রিমিকে নৌকায় ভোট দিয়ে কাজ করার সুযোগ দেবেন।
গাজীপুর- ৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী এবং দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সিমিন হোসেন রিমি কাপাসিয়ার উন্নয়নের কথা তুলে ধরে বলেন, কাপাসিয়া তাজউদ্দীন আহমদের পূণ্যভূমি। আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক, উন্নয়নের প্রতীক, বঙ্গবন্ধুর প্রতীক, শেখ হাসিনার প্রতীক নৌকা মার্কা। আমাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনাদের পাশে রেখে কাজ করার সুযোগ দেবেন।
তিনি বলেন, ‘কাপাসিয়াকে মডেল উপজেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এখানে সকল মানুষের তথ্যের জন্য ডাটাবেজ তৈরি করা হবে। যে যে ধরনের কাজে পারদর্শী হবে, তাকে সেই ধরনের কাজে যুক্ত করা হবে।’
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা অ্যডভোটেক মাজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন রিমির বোন মাহজাবিন আহমদ মিমি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমানত হোসেন খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান ও আজগর রশিদ খান, মিজানুর রহমান প্রধান প্রমুখ।
এমএইচইউ/তিতাস টাইমস২৪




0 মন্তব্যসমূহ