লাইফস্টাইল ডেস্ক : ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতা একটি ভয়াবহ পর্যায়ের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা যা আমাদের দেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তেমন একটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়না। এতে করে ডিপ্রেশনে থাকা কারো প্রতি কোনো ধরনের সহানুভূতি প্রদর্শন না করে উল্টো বিভিন্ন অপবাদ দেয়ার মাধ্যমে কেউ কেউ একজন ভুক্তভোগীর জীবনকে আরো কঠিন করে তোলেন নিজের অজান্তেই।
ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিবেচনা করলে বলা যায়, আমরা হাসি আনন্দ ও রঙবেরঙের উৎসব উদযাপনে অভ্যস্ত একটি জাতি। স্বভাবতই বিষণ্ণতা বা অন্য যেকোনো ধরনের মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতিকে আমরা সহজে আমলে নিতে অভ্যস্ত নই। তবে প্রতিনিয়ত এই ধরনের সমস্যায় যারা ভুগছেন, তাদের কাছে জীবনের সব কিছুই আঁধারে ঢাকা মনে হয়। যদিও বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষ এসকল বিষয়ে জানতে আগ্রহী এবং মানসিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতা সম্পর্কিত বিষয়ে তারা বেশ সচেতন।
সাধারণত কেউ যদি কমপক্ষে ২ সপ্তাহ ধারাবাহিকভাবে বিষণ্নতায় ভুগেন তাহলে তাকে ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনের রোগী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
সম্প্রতি "ডাঃ সায়েদুল আশরাফ কুশল" উক্ত বিষয়ে এক ফেইসবুক পোস্টের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করেছেন। তা পাঠকদের উদ্দেশ্যে হুবুহু তুলে ধরা হলো -
ক্লিনিকাল ডিপ্রেশন হলে সবসময় কিন্তু মন খারাপ হয় না।
নিচের ৬ রকম সমস্যাও ডিপ্রেশন থাকলে হতে পারে -
১. বাসা থেকে একদমই বের হতে ইচ্ছা হয়না।
২. সবসময় অতীতের কোন না কোন ভুল নিয়ে বাড়াবাড়ি রকমের অনুশোচনা হয়।
৩. পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে (গোসল করা, ভাল জামা পড়া) একদমই ইচ্ছা করেনা।
৪. বেশি বেশি ঘুমাতে ইচ্ছা করে যাতে পৃথিবীর ঝামেলা গুলো কম ফেইস করতে হয়।
৫. মনে হয় সবাই আমাকে অপছন্দ করে।
৬. নিজের ঘরবাড়ি একটানা কয়েক সপ্তাহ বা মাস গুছানো বা পরিস্কার করা হয়না
জেএইচআর/তিতাস টাইমস২৪





0 মন্তব্যসমূহ