বিনোদন ডেস্ক : বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রীদের মাঝে শীর্ষস্থনে রয়েছেন সানি লিওন। তার আবেদনময়ী লুকে যেন বুঁদ হয়ে থাকেন ভক্তরা। একটা সময় সানি নীল সিনেমায় কাজ করতেন যদিও, তবে অনেক আগেই নীল সিনেমার এই অন্ধকার জগতকে বিদায় জানিয়ে অভিনেত্রী পরিচয়ে দর্শকদের সামনে নিজেকে হাজির করেছেন নতুনভাবে। অতঃপর অল্প সময়ের ব্যবধানে বলিউডে নিজের জায়গাটাও তিনি পাকাপোক্ত করে নিয়েছেন দারুণভাবে।
কিন্তু এখনো নিজের ফেলে আসা পুরনো সেই অতীতের জন্য তাকে প্রায়শই বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় প্রযুক্তির অপব্যবহার প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন এই অভিনেত্রী।
সেখানে সানি কথা বলেছেন 'ডিপফেক ভিডিও' প্রসঙ্গে। হঠাৎ ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়েছে বিষয়টি। ইতিমধ্যে যার শিকার হয়েছেন রাশমিকা মান্দানা, ক্যাটরিনা কাইফ, ও কাজলের মতো বলিউড তারকারাও। প্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে শোবিজ অঙ্গনের তারকাদের নিয়ে প্রতিনিয়ত তৈরি করা হচ্ছে এমন অসংখ্য ‘আপত্তিকর ভিডিও’। এতে করে বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন এসকল প্রযুক্তি নারীদের জন্য হয়ে উঠেছে হুমকিস্বরূপ। এই ধরনের প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে যেকারো আপত্তিকর ভিডিও তৈরি করা সম্ভব, এইক্ষেত্রে কেবল সেই ব্যাক্তির একটি ছবি প্রয়োজন হয়।
প্রযুক্তির সহায়তায় তৈরী আপত্তিকর ভিডিও প্রসঙ্গে সানি লিওন বলেন, ‘এটি একটি হুমকিস্বরূপ, যা দীর্ঘদিন যাবত হয়ে আসছে। এটি এখন আর সাম্প্রতিক কোনো ইস্যু নয়। সত্যি বলতে, আমাকে নিয়েও এমন ডিপফেক (আপত্তিকর) ভিডিও তৈরী করা হয়েছে। কিন্তু তা নিয়ে আমি চিন্তিত নই। আমি নিজেকে এনিয়ে মানসিকভাবে প্রভাবিত হতে দিইনি। কিন্তু কম বয়সী এমন অনেক মেয়ে আছে, যাদেরকে এমন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তখন তারা বুঝতে চায়না যে এতে তাদের কোনো দোষ বা ভুল নেই।’
এসময় ভুক্তভোগীদের প্রতি পরামর্শ দিতে যেয়ে সানি লিওন বলেন, ‘কম বয়সী কোনো মেয়ের সাথে কখনো এমন অনৈতিক কিছু ঘটলে তারা যেন তৎক্ষনাৎ সাইবার সেলে যোগাযোগ করে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের যেন সমস্যার কথা খুলে বলে। তাহলে অবশ্যই এই বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নিবে। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন সমস্যার সম্মুখীন হলে কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ জানালেও প্রযুক্তিগত সহায়তা পাওয়া যায়। পুরো সিস্টেমটাই আপনার পক্ষে, শুধু আপনাকে সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে, আর নিজের কাজটুকু করতে হবে।’
• আরো পড়ুন: ডিপফেক থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার ৫টি উপায়
এদিকে ডিপফেক (আপত্তিকর) ভিডিও প্রসঙ্গে ফ্যাক্ট চেকিং ওয়েবসাইটগুলো দাবি করেছে, এসকল ভিডিও এআই প্রযুক্তির সাহায্যে তৈরী করা হয়। এই ধরনের টুলস ব্যবহার করে যেকোনো ভিডিওতে চেহারা পরিবর্তন করা যায়। প্রযুক্তির সহায়তায় নিখুঁতভাবে নির্মিত এসব ডিপফেক ভিডিও অনেকেই সত্যিকারের ভিডিও বলে মনে করেন এবং এনিয়ে বিভ্রান্তি তৈরী হয়।
এএইচএম/তিতাস টাইমস২৪






0 মন্তব্যসমূহ