সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

কৌশলে দাম বাড়িয়ে নিয়েছেন স্টার্ক-কামিন্স

স্পোর্টস ডেস্ক : এবারের মিনি নিলামে দুই ঘণ্টার ব্যবধানে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকের রেকর্ড ভেঙেছে দুবার। যে দুজন এই রেকর্ড দাম পেয়েছেন তাদের দুজনই অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার। বিদেশি ক্রিকেটাররা আইপিএলের মূল নিলামে না এসে মিনি নিলামে কৌশলে নিজেদের দাম বাড়িয়ে নিচ্ছেন বলে মনে করেন দীনেশ কার্তিক।

শুরুতে স্যাম কারানের রেকর্ড ভেঙে ২০ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে হায়দরাবাদে যান প্যাট কামিন্স। ঘন্টা দুয়েক পরই সেই রেকর্ড ভেঙে দেন মিচেল স্টার্ক। এই পেসারকে ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে কিনেছে কলকাতা। যা আইপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড।

অথচ স্টার্ক ও কামিন্সের কেউই গত মেগা নিলামে নাম দেননি। কার্তিকের মতে, মিনি নিলামে ক্রিকেটাররা বেশি দাম পায় এবং সেজন্য মেগা নিলামে নাম না দিয়ে, মিনি নিলাম থেকে দল পাওয়ার চেষ্টা করে। এ ব্যাপারে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলেও মনে করেন কার্তিক। 

তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় খেলোয়াড় ও এজেন্টরা এটিকে কৌশল হিসেবে ব্যবহার করছে, যেখানে মূল নিলামে তারা আসে না। তিন বছর পরপর হওয়া সে নিলাম তারা যেতে দেয়, এরপর মিনি নিলামে আসে, যেটি মূল নিলামের পরের বছরই হয়। যেহেতু ফাঁকা থাকে, তাদের খ্যাপাটে দাম ওঠে। আমার মনে হয় অস্বাস্থ্যকর এই চলটা এখনই বন্ধ হওয়া উচিত।’ 

এ ব্যাপারে বিসিসিআইকে পরামর্শও দিয়েছেন কার্তিক। তিনি বলেন, 'মূল নিলামের পর কোনো দলের ছেড়ে দেওয়া কেউ মিনি নিলামে এলে তিনি সর্বোচ্চ সে দামই পাবেন, যেটিতে তাকে মূল নিলামে কেনা হয়েছিল। যাতে করে যে সব খেলোয়াড় ভালো করেছে, এবং যাদের দলগুলো ধরে রেখেছে তাদের বাজে অনুভূতি না হয়। মিনি নিলামে আসা বেশির ভাগ খেলোয়াড়েরই হয়তো আগের মৌসুমটি ভালো কাটেনি।'

'আমার মনে হয় এমন কেউ সর্বোচ্চ সে দামই পেতে পারে, ওই নির্দিষ্ট দলের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়ের যা দাম। এরপর সে যে দাম পাবে, সেটি বিসিসিআইকে ফেরত দেবে। যেটি হয়তো কোনো একসময় গিয়ে একটু বোঝা যাবে। এরপরও এটি একটু অন্যায্যই হবে, তবে আমার মনে হয় সেটি সেরা উপায়। কারণ, আমি দেখছি অনেক বিদেশি ক্রিকেটারই এটিকে ফাঁকফোকর হিসেবে ব্যবহার করছে।'-আরো যোগ করেন তিনি।


এএইচএম/তিতাস টাইমস২৪

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

© TitasTimes24 All Rights Reserved

class='remove-footer'>